মো রকিবুল হাসান সনি
সাব্বির রহমান (২৮)। কোনো পেষা না থাকলেও বর্তমানে পুলিশের সোর্স আবার কখনো থানার কর্মকর্তা পরিচয়ে সে প্রাইভেট কারে চড়ে বেড়ায়। তবে থানার দেয়া তথ্যমতে তার বিরুদ্ধে মহাসড়কে যানবাহনের মালমাল চুরি, প্রতারনা ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত।
অভিযুক্ত সাব্বির রহমান রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভা এলাকার কাঠালবাড়িয়া গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য বাবুল হোসেনের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশের তথ্যমতে জানা গেছে, স্কুল সময় থেকে সাব্বির মাদকাসক্ত ও বেপরোয়া হয়ে যায়। যার কারণে সে মাধ্যমিকের গন্ডি পার হতে পারেনি। বরং স্থানীয় মাদক ব্যবসায়িদের সাথে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে সে পুলিশের সোর্স আবার কখনো থানার এস আই পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা ও ছিনতাই করে আসছে। আর এ সকল মামলায় বিগত সময়ে সে কয়েক বার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। এদিকে গত এক বছর থেকে সে এলাকায় একটি সিন্ডিকেট চক্র গড়ে তুলেছে। ওই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের চলাচলকারি ট্রাক থেকে মালামাল চুরি ও ছিনতাই করে। সম্প্রতি সময়ে চুরি করার সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে দুটি হোন্ডা সড়কে ফেলে রেখে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে তাদের গ্রুপের দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছেন। এদিকে সাব্বির ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের আজরাইলের মোড় নামক স্থানে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি ভাড়া নেয়। ওই বাড়িতে এলাকার প্রভাবশালী ব্যবসায়িদের টার্গেট করে সুন্দরী নারী দিয়ে নগ্ন ভিডিও ধারন করে। এরপর ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তার এ চক্রান্তে জনপ্রতিনিধি, কেবল ব্যবসায়ি, রাজনৈতিক নেতাসহ অনেকই শিকার হয়েছেন। তবে এলাকায় মান সম্মানের ভয়ে কেও প্রতিবাদ বা আইনের আশ্রয় নেননি।
পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেবের মোল্লা বলেন, সাব্বির ও তার গ্রুপের লোকজন ওই বাড়িতে মাদকসহ নারী দিয়ে ব্যবসা করাতো। লোকমুখে শুনেছি নারী দিয়ে নগ্ন ভিডিও তৈরি করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এলাকার সামাজিক পরিবেশ বজায় রাখতে এ বিষয়ে থানাসহ বিভিন্ন স্থানে অবহিত করা হয়েছে।
থানার ওসি ফারুক হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত সাব্বির ও তার সহযোগিরা সম্প্রতি সময়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতরাতে সড়কে বিভিন্ন যানবাহন থেকে মালামাল চুরির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওসি বলেন, তার বিরুদ্ধে পুঠিয়াসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সাব্বির পুলিশ সোর্স কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, কোনো অপরাধি পুলিশের সোর্স হিসাবে কাজ করতে পারে না।
Post a Comment