মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
বর্তমান জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। তিনি নওগাঁয় যোগদানের পর নওগাঁর অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছেন। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কেউ তথ্য দিলেই তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। সেটা যত প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোক না কেনো। তার এই সততা অনেকের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এদের মধ্যেই একটি পক্ষ নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবকে ব্যবহার করছে। প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কত টাকা খেয়ে এই নোংরামি করছেন তা আমরা অবগত নয়। তবে তাঁদের অতি উৎসাহী মনোভাব দেখলেই বোঝা যায়, তারা কতটা নিচ মন মানসিকতার। রবীন্দ্রনাথের জন্মোৎসবে সাংবাদিকদের জন্য বসার জায়গা করেছিলো আয়োজকরা। অনেক সাংবাদিক সেখানে বসেছিল। প্রেস ক্লাবের আসাদুর রহমান জয় এনটিভি, সাংবাদিক ইউনিয়নের আরমান হোসেন রুমন চেয়ার টেবিলে বসে নিউজ পাঠিয়েছে। আরো অনেক সাংবাদিক বসে নিউজ পাঠিয়েছে। অথচ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দীন,মোঃ শফিক ছোটন অপপ্রচার করলেন বসার জায়গা দেওয়া হয়নি। তারা মঞ্চের সামনে উদ্দেশ্যমূলক মাটিতে বসে পড়লেন। সেই সাথে সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা আজাদ হোসেন মুরাদ যোগ দিলেন। কয়েকটা ছবি উঠিয়ে মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করলেন। তাঁদের নাকি বসতে জায়গা দেয়া হয়নি। কতটা নিচ হলে এই অভিনয় করতে পারে একটা মানুষ। এরা তো অভিনেতা। সাংবাদিক নামধারী অভিনেতা। তাঁদের এফডিসিতে কাজ করা উচিত।এবিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় সকল সাংবাদিক সংগঠনকে ডেকে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।এরপরও কিছু সাংবাদিক নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য জেলা প্রশাসকেন বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করতেছে।জেলার ৪- ৫ টি সংগঠনের প্রায় ৫০-৬০ জন সাংবাদিক একত্রিত হয়ে সকলের মতামতের ভিত্তিতে সম্মিলিত সাংবাদিক ঐক্য গঠন করেছেন।এই সংগঠনের আহ্বায়ক মোঃ সাদেকুল ইসলাম,সদস্য সচিব এম আর রকি,সদস্য সচিব মোঃ খোরশেদ আলম।সম্মিলিত সাংবাদিক ঐক্যের নেতারা বলেন,নওগাঁয় সাংবাদিকদের কোন বিভাজন থাকবেনা। সকল সংগঠন মিলিতভাবে একটি সংগঠন তৈরি করা হবে।জেলার সকল সাংবাদিকদের একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান।
Post a Comment