নির্বাচন চায় না বিএনপি , অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী

 



খবর রাজশাহী ডেস্ক: গণভবনে মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ থেকে ১৫ সালেও বিএনপি একই ভাবে সন্ত্রাস করেছে। সেই সময় ২৯ জন পুলিশকে হত্যা করেছিলো। ৫০০ স্কুল পুড়িয়েছে। ৩ হাজার মানুষ পুড়িয়েছে। ৫০০ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। এদের মধ্যে মনুষ্যত্ব নেই। এদের সাথে যতোই ভালো ব্যবহার করি, স্বভাব বদলাবে না। এরা নির্বাচন চায় না। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীদের যেভাবে শিক্ষা দেওয়া উচিত, এবার আমরা তাই দেবো। যাদের গাড়ি পুড়িয়েছে আমরা তাদের ক্ষতিপূরণ দেবো। তিনি পোশাক শিল্পে শুরু হওয়া অস্থিরতা প্রসঙ্গে বলেন, গার্মেন্টসে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ আমাদের আমলেই হয়েছে। ১৪ বছরে আমরা তিনবার মজুরি বাড়িয়েছি। এখন যে নাশকতা শুরু হয়েছে, এসব করলে নিজেদেরই ক্ষতি হবে। আমি এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানাই। 

২৮ অক্টোবরের সহিংসতার বিচার প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা প্রাচীন ভারতীয় শ্লোক উদ্ধৃত করে বলেন, শঠে শাঠ্যং সমাচরেৎ। অর্থাৎ শঠের সঙ্গে শঠের মতো আচরণ করতে হবে। যারা গাড়ি পোড়ালো, তাদের চিহ্নিত করে বিচার করা হবে। যে হাত দিয়ে গাড়ি পোড়ানো হয়েছে, ধরা পড়লে সে হাতটা পুড়িয়ে দিতে হবে। আমি বলবো, জ্বালাও পোড়া বন্ধ করুন। এভাবে তারা নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। 

শেখ হাসিনা বলেন, যারা গতবার আগুন দিয়েছিলো, তাদের কারো সাজা হয়েছে। অনেকে জামিনে বের হয়ে গেছেন। এটাই দুর্ভাগ্য, এটাই সমস্যা। এসব অপরাধ যারা করে, তাদের দ্রুত সাজা দিয়ে কার্যকর করার আহ্বান জানাবো। তারা যা করছে, মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, বিএনপিকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, এসব করে তাদের কতোটুকু লাভ হচ্ছে? তাদের সমস্যা হচ্ছে, নেতৃত্ব নেই। আছে কিছু মাইকবাজ। তারাও চলে গেছে আন্ডারগ্রাউন্ডে। দেশবাসীকে বলবো এদের ধরিয়ে দিন। 


0/Post a Comment/Comments