স্টাফ রিপোর্টার মশিউর রহমান :
মোহনপুরের জাহানাবাদ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া হাটের ঋণগ্রস্ত ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম নিজের হত্যার নাটক সাজিয়ে আত্মগোপনকারী ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে। অবশেষে তার বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের হারেস আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (২১) দর্ঘিদিন ধরে পাকুড়িয়া হাটে কামরুজ্জামান রানার দোকান ভাড়া নিয়ে শরিষা, খৈল, ভুষির ব্যবসা করতেন এবং দোকানেই রাত্রী যাপন করছিলেন। সম্প্রতি কামরুল ইসলাম অনেক টাকার ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এমনকি ঘর মালিকের কাছ থেকে টাকা ধার নেয়। এছাড়াও মাঝে মধ্যেই পাওনাদাররা দোকানে আসতো টাকা চাইতে।
১৫ অক্টোবর একজন পাওনাদারকে টাকা দেয়ার প্রতিশ্রতি ছিল। ১৪ অক্টোবর রাতে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে এমন নাটক সাজিয়ে ছিলেন ব্যবসায়ী কামরুল নিজেই। রাতের বেলায় কামরুল সংগৃত রক্ত তার দোকান ঘরের শোয়ার বিছানায় ঢেলে রেখে দোকানের সাটার নামিয়ে দিয়ে ঢাকার পালিয়ে যান। ১৫ অক্টোবর সকালে স্থানীয় লোকজন তার খোঁজ খবর নিতে দোকানে গিয়ে তার বিছানায় রক্ত দেখে তার পরিবারসহ পুলিশকে খবর দেয়। তার সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছিল।
খবর পেয়ে মোহনপুর থানার এসআই ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধানে কাজ করেন। পরে সিআইডির সহয়োগিতায় বিষয়টি হত্যাকাণ্ড নয় বলে ধারণা পান। পরে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম ঢাকায় থাকার বিষয়টি হয় পুলিশ। ঢাকার দারুস সালাম থানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার হন তিনি। ১৬ অক্টোবর তাকে মোহনপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর প্রাথমিক জিগ্যাসাবাদে তার নাটকীয়তার সকল তথ্য বেরিয়ে আসে। পরে ঘর মালিক থানায় প্রতারণা মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরিদাস মণ্ডল বলেন, পাবলিকের দায়ের করা মামলায় কামরুলকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Post a Comment