বাগমারায় নৌকার সমর্থকদের ওপর কাঁচির প্রচার মিছিল থেকে হামলার অভিযোগ : ধাওয়া-পাল্টা ও সংঘর্ষে আহত ১৫



নিজস্ব প্রতিবেদক,

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের মাদারিগঞ্জ বাজারে নৌকা ও কাঁচি প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকালে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে সংঘর্ষে পর থেকে মাদারিগঞ্জ বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। আটকদের একজন নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থক বলে বাগমারা থানা পুলিশ জানিয়েছে। তবে নৌকার সমর্থকরা দাবি করেছেন, পুলিশের হাতে আটক তাদের সমর্থক আফজাল হোসেন (৪৫) পেশায় ভ্যান চালক। তিনি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ভ্যান রেখে নির্বাচনী কার্যালয়ে আসলে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।  
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার বিকাল ৫টার দিকে কাঁচি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা মাদারীগঞ্জ বাজারে প্রচার মিছিল বের করে। এসময় নৌকার স্থানীয় প্রচার কার্যালয়ে আবুল কালাম আজাদের সমর্থকরা প্রচারণার বিষয়ে সভা করছিল। কাঁচির সমর্থকরা নৌকার প্রচার কার্যালয় অতিক্রমের নৌকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে শুরু করে। তাদের শ্লোগান শুনে নৌকার সমর্থকরা তাদের কার্যালয়ের সামনে আসলে কাঁচি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক ধর ধর বলে চিৎকার করেন। এসময় তার সমর্থকরা নৌকার সমর্থকদের উপর ইটপাটকেল, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়।
গনিপুর ইউপির নৌকার প্রচারণা কমিটির আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাবু জানান, হামলাকারী কাঁচির সমর্থকদের নৌকার সমর্থকরা তাদের প্রতিরোধ করলে উভয়পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদের সামনেই এনামুল হকের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এতে তাদের ১০ জন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে এই সংঘর্ষের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক নৌকার সমর্থকদের দায়ী করেছেন। সংঘর্ষের পর তিনি মাদারিগঞ্জ বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশও করেছেন। সমাবেশে তিনি তার প্রচার মিছিলে হামলার অভিযোগ তুলে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে তার নেতাকর্মী সমর্থকদের সতর্ক থাকার নিদের্শ দেন। তবে তার সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রফিকুল আলম জানান, পুলিশ তাতক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে অভিযান চলছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0/Post a Comment/Comments