মোহনপুরে সরকারী জমি দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ




সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট এলাকার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারী জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া। এব্যাপারে বুধবার (১০ জানুয়ারী) এলাকাবাসির পক্ষে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মোহনপুর উপজেলার ফুলশো গ্রামের মৃত জব্বার আলীর ছেলে সাবের আলী একজন ভূমিদস্যু। মোহনপুর উপজেলার কেশর মৌজায় বিএস ১৬৪০, ১৬৫০, ১৬৫১ ১৬২১, ১৬৩৮ দাগগুলো বাংলাদেশ সরকারের সড়ক ও জনপদ নামে রেকর্ডভুক্ত সম্পত্তি। উক্ত দাগ গুলোতে সাবের আলী অবৈধভাবে দখল করে ৫ তলা ভিতসহ ভবন ও দোকানপাট নির্মাণ করেছে। এছাড়াও কেশরহাটের সরকারী খাস জমি প্রায় ১৭ বিঘা অবৈধভাবে দখল করেসাবের আলী প্রায় ২০০ টি দোকান, মার্কেট ও ভবন নির্মাণ করেছে। যেখান থেকে তার ভাড়া বাবদ মাসিক আয় প্রায় ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন।

সাবের আলী ও তার বাহিনীর ভয়ে স্থানীয় লোকজন মুখ খুলতে সাহস পায় না। বিভিন্ন অপকর্মে ও বিষয়ে তার বিরুদ্ধে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। জনস্বার্থে উপরোক্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখা দরকার বলে স্থানীয়রা মনে করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এছাড়াও বর্তমানে সাবের আলী নওগাঁ রোর্ড কেশরহাট পৌরসভা পেট্রল প্যাম্প পার্শ্বে হিরো মোটরসাইকেল শোরুমের সাথে পাঁকা ৫ তলা বিশিষ্ট বাড়ী নির্মাণ করছেন। কেশরহাট পৌর মার্কেটের পার্শ্বে প্রায় ৩ বিঘা জায়গার উপর ভরাট দিয়ে ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা আছে তার। বিষয়গুলো নিয়ে স্থানীয় লোকজন এসি ল্যান্ড ও ইউএনও অফিসে অভিযোগ দিলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

এদিকে, ১৬২১ নং দাগ সরকারী প্রজাতন্ত্রেও সম্পত্তি ১/৩ নং খতিয়ান যা ব্যক্তি সাবের আলী নামে বিএস রেকর্ডে অন্তভুক্ত হয়েছে। কিন্তু আরএস রেকর্ড অনুযায়ী উক্ত সম্পত্তির মালিক খন্দকার রফিকুল ইসলাম তার নিকট হইতে বাংলাদেশ সড়ক ও জনপদ বিভাগ এ্যাকুয়ার করে নিয়েছে। অথচ সরকারী সেই সম্পত্তি বিএস রেকর্ডে ১৬২১ নং দাগ সাবের আলীর নাম অন্তভূক্ত হয়েছে যা সঠিক নয়। যাহা তদন্ত করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে।

এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা সহকারি কমিশরার (ভূমি) মিথিলা দাস বলেন, নির্মাণ কাজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কেশরহাট পৌরসভার ভূমি কর্মকর্তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। আমরা উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

0/Post a Comment/Comments