বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলাধীন চকরাজাপুর ইউপির চরাঞ্চল দাদপুর গ্রামে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঘা থানায় এ ব্যাপারে শিশুটির চাচা মোঃ ইমাদুল হক বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত ১৮ মার্চ( সোমবার) চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড দাদপুর গ্রামের এক কিশোর ছেলে ছন্মনাম মহির (১৪)। চকরাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র বলে জানা যায়। ঘটনার দিন দুপুর বেলায় শিশু মেয়েটির মা সাংসারিক কাজে বাড়ির পার্শে থাকায় ভিকটিমের বাড়িতে আসেন প্রতিবেশী কিশোর মহির(ছদ্মনাম)। পরে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় এবং জামা কাপড় খুলে জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
এ সময় শিশুটি কান্নাকাটি করলে অভিযুক্ত মহির শিশুটির মুখ চেপে ধরে কাউকে বলতে নিষেধ করে এবং শিশুটির ছোট দুই বোন কে মেরে ফেলার হুমকি দেয় । একপর্যায়ে প্রতিবেশী লোকজন টের পেলে মহির শিশুটিকে ছেড়ে দেয়। পরে শিশুটি কান্না করতে করতে দৌড়ে গিয়ে মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়।
এ নিয়ে শিশুর মায়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার স্বামী ঢাকায় থাকে । বাড়িতে শুধু আমি আর আমার ৫ মেয়ে থাকি। গত ১৮ মার্চ বিকালে প্রতিদিনের মত আমার মেয়েদের রেখে আমি ছাগল চরাতে পার্শেই মাঠে যাই। বাড়ির ভিতর ঘরে থাকে আমার ছোট মেয়েটি।
তখন বাড়ির পাশ্বের বাড়ির কিশোর মহির(ছদ্মনাম) তাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে তাদের ঘরে এসে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। পরে বিষয়টি নিয়ে আমি আমাদের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহুরুলের কাছে বললে তিনি বিষয়টি নিয়ে মিমাংসা করা কথা বলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে এক সপ্তাহ ধরে। কিন্তু তাদেরও চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। ধর্ষণের চেষ্টার শিকার শিশুটি বর্তমানে বাড়িতে এ আছে । ঘটনায় শিশুটির চাচা বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন ।
চকরাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ডি এম বাবুল দেওয়ান বলেন,ঘটনাটি নিয়ে আমরা স্থানীয় ভাবে ভিকটিমের বাড়ীর পার্শে শুক্রবার দিনে বসেছিলাম। উভয়পক্ষের কথাবার্তায় সঠিক সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, শিশু ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে দুজনের বয়স কম।
Post a Comment