নিজস্ব প্রতিবেদক,
মালয়েশিয়ায় উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। ইতিমধ্যে এই প্রতারকচক্রের ফাঁদে পড়ে অনেক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিক হারিয়েছেন সর্বস্ব। এ প্রতারকচক্রের মূলহোতা রাজধানী কুয়ালালামপুরের প্রবাসী বাংলাদেশি মো. মনিরুজ্জামান ওরফে মনির ও দেশে পলাতক অবস্থায় আছে তার ভাই সাইদুর। তাঁদের নেতৃত্বে কাজ করে আরও বেশ কয়েকজন।
এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ২০২৩ মামলা দায়ের হলেও এই মনির মনির চক্র এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে কি কারণে গ্রেফতার হচ্ছে না তারা জানা যায়নি আজ অবদি। প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন দেশের একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান ও প্রতারণার খপ্পরে পড়া শত শত অসহায়রা।
সূত্র থেকে জানা যায়, অভিনব কায়দায় এই প্রতারক চক্রের মূলহোতা মনির দেশের বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশন ও স্বনামধন্য পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। তিনি ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার নল ডাঙ্গা বলিদা পাড়া মোহাম্মাদ আলীর ছেলে।তবে দেশের বর্তমান ঠিকানা (বাসা নং-১৮৬/৪, নতুন পল্টন লাইন, ডাকঘর-নিউ মার্কেট-১২০৫), উপজেলা/ থানা- লালবাগ, জেলা-ঢাকা।
এদিকে দেশে থেকে প্রতারণার কাজে তারই ভাই সাইদুর রহমান সহযোগিতা করতেন। এছাড়াও তাঁদের নেতৃত্বে কাজ করে আরও বেশ কয়েকজন।
এই প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে দেশের একটি ট্রাভেল এজেন্সি হারিয়েছেন ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের এই স্বনামধন্য জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আইনের আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার বনানী থানায় মামলা চলমান। মামলা নং- ৬০২৫(৫)/১।
ঢাকায় অবস্থিত স্বনামধন্য ওই ট্রাভেল এজেন্সির মালিক তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় ভালো ভিসা আছে এমন প্রলোভন দেখিয়ে মনির ও তার ভাই সাইদূর আমার কাছ থেকে এক কোটি ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ২০২৩ সালে আমি ঢাকার বনানী থানায় মামলা করি, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস জানালেও এখনো গ্রেফতার হচ্ছে না প্রতারক চক্রটি।
তিনিও আরও জানান, এই প্রতারক চক্রটির মালিক মনির সাংবাদিক পরিচয়ে নিত্য নতুন নানান অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাই প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
Post a Comment