দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর দুর্গাপুরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যান সহ ২০০ জন আওয়ামীলীগ নেতাকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে।
গত মঙ্গলবার(৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন উপজেলার চক জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের শাহাদত হোসেন।
এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করছে জেলা ডিবি ও থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার (৫০) দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুর (৫২) ও ঝালুকা ইউনিয়ন যবলীগের সভাপতি ইমরান আলী (৪০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৪ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহযোগীতাকারীদের হত্যার উদ্দ্যেশ্যে দুর্গাপুর উপজেলা মেডিকেল মোড়ে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে বোমাবাজি করে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ এনে গত ৩ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর পুত্র শাহাদত হোসেন।
মামলার আসামীরা হলেন বিগত সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা, সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুজ্জামান শরিফ, নজরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ সরদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ মান্নান ফিরোজ, আওয়ামীলীগের সভাপতি আজাহার আলী, সাবেক পৌর মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট, আবুল কালাম আজাদ, মিজানুর রহমান, আকতার আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, নওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক আক্কাছ আলী, কিশমত গনকৈড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নূরমোহাম্মদ, পানানগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আদম আলী, দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নজুম, ঝালুকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আকবর আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিঠু, সাধারন সম্পাদক ছালিমুদ্দিন, পৌরসভা যুবলীগ সভাপতি বেলাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক আবুল বাসার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল খান, সাধারন সম্পাদক রিপন সহ এজাহার নামীয় ৭০জন সহ অজ্ঞাত ১৫০-২০০ জন।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মাসুদ পারভেজ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হত্যা চেষ্টা ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনা থানা পুলিশের হাতে আটকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। আর জেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার বর্তমানে তিনি রাজশাহী জেলা ডিবি কার্যালয়ের হেফাজতে রয়েছে।
Post a Comment