তালতলীতে এক সাংবাদিকের স্ত্রীর সাথে অন্য সাংবাদিক অবৈধ সম্পর্ক করতে এসে জনতার হাতে কট



বিশেষ প্রতিনিধি 

বরগুনার তালতলীতে এক সাংবাদিকের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া করতে এসে অন্য এক সাংবাদিক জনতার হাতে ধরা পড়েছে। 
এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নানা কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়েদশটার দিকে তালতলী উপজেলার বড়বগি ইউনিয়নের ছোট ভাইজোড়া আশ্রয়ন প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা  গেছে, তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি খাইরুল ইসলাম আকাশ এর সাথে জনৈক সাংবাদিক মোস্তাফিজ আকনের সাথে ওস্তাদ শিষ্যের মতো সম্পর্ক রয়েছে। এরই সুবাদে মোস্তাফিজ আকন তার ওস্তাদ খাইরুল ইসলাম আকাশের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। এ আসা-যাওয়ার একপর্যায়ে খাইরুল ইসলাম আকাশের স্ত্রী (নুপুরে) এর সাথে জনৈক সাংবাদিক মোস্তাফিজের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে মোস্তাফিজ খাইরুল ইসলাম এর অনুপস্থিতি বুঝে প্রায়ই তার বাড়িতে সময়-অসময় আসা-যাওয়া করতেন। খাইরুল ইসলাম আকাশ শুক্রবার পার্শ্ববর্তী কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রে গেলে জানতে পেরে মোস্তাফিজ  সন্ধ্যার পরে খাইরুলের অনুপস্থিতিতে তার বাসায় যান। পার্শ্ববর্তী লোকজন টের পেয়ে প্রশাসনকে খবর দিয়ে এনে সকলে মিলে তাদেরকে ধরে ফেলে। এরপর ওই ঘরের চতুর্পাশে কয়েকশ স্থানীয় জনতা এসে অসৌজন্য মূলক বাক্য ব্যবহার করে বিক্ষোভ করে। পরে তালতলী নৌ বাহিনীর ক্যাম্পের সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নৌ বাহিনীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার স্থানীয় উদ্বুদ্ধ জনতা কে ঘটনার বিচার করার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

পরকীয়া প্রেমিক আমাদের সময় পত্রিকার  সাংবাদিক মোস্তাফিজ আকন বলেন,আমি এ বাসায় এসেছি নাম নিতে আর আমার একটি ডাইরি রয়েছে সেই ডাইরি খাতা নিতে এসেছি। 

এ ব্যাপারে প্রেসক্লাবের সভাপতি খাইরুল ইসলাম আকাশ বলেন আমি কুয়াকাটা পর্যটন এলাকায় থাকার কারণে আমার শিষ্য মোস্তাফিজ আকনকে ঔষধ নিয়ে বাসায় পাঠিয়ে ছিলাম। আক্রোশ মূলক স্থানীয় জনতারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। মূলত এ ঘটনা সত্য নয়। 

এ ব্যাপারে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,আমরা সংবাদ থেকে ঘটনাস্থনে পুলিশ পাঠিয়েছি অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0/Post a Comment/Comments